শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:১৬ পূর্বাহ্ন
দিদার এলাহী সাজু : নির্বাচন কমিশনের ঘোষণা অনুযায়ী আগামী মার্চ থেকে ধাপে ধাপে অনুষ্ঠিত হবে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। এ লক্ষে সারাদেশের ন্যায় বাহুবলেও ধীরে ধীরে সরগরম হয়ে উঠছে নির্বাচনী মাঠ। প্রথমবারের মত দলীয় প্রতীকে অনুষ্ঠিতব্য উপজেলা নির্বাচন নিয়ে সাধারণ ভোটারদের মধ্যে চলছে নানামুখী আলোচনা-সমালোচনা। তবে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন নিয়ে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামীলীগ যতটা উৎফুল্ল, ঠিক ততটাই হতাশা বিরাজ করছে বিএনপিসহ ২০ দলীয় জোটে।
লক্ষ্য করা যাচ্ছে, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বাহুবলে আওয়ামীলীগ, বিএনপি, জামায়াত ও জাতীয় পার্টি’র পৌণে ১ ডজন সম্ভাব্য প্রার্থী রয়েছেন আলোচনায়। এদের মধ্যে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামীলীগেরই ৪ জন। আর অন্যান্যরা বিএনপি, জামায়াত ও জাতীয় পার্টির।
আওয়ামীলীগের সম্ভাব্য প্রার্থীরা হলেন, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুল হাই, জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুল কাদির চৌধুরী, হবিগঞ্জ জেলা তাঁতীলীগের সভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ মুদ্দত আলী এবং সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আক্তারুজ্জামান নাসির।
বিএনপি’র সম্ভাব্য প্রার্থীরা হলেন, উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি আলহাজ্ব আকাদ্দছ মিয়া বাবুল, সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মিজানুর রহমান চৌধুরী এবং বিএনপি নেতা ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান এম.এ মুসা। এছাড়াও আলোচনায় আছেন কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক পার্টি’র নির্বাহী সদস্য ও হবিগঞ্জ জেলা জাতীয় পার্টি’র সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী এবং সিলেট মহানগর জামায়াতের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মোঃ শাজাহান আলী। এদিকে, উপজেলা নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী পরিবারে উৎফুল্ল ভাব বিরাজ করলেও চরম হাতাশা বিএনপিসহ ২০দলীয় জোটে।
নির্বাচন বিষয়ে জানতে চাইলে বাহুবল উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুল হাই বলেন, ‘‘বিগত ইউপি নির্বাচন, ভাইস-চেয়ারম্যান পদে উপ-নির্বাচন ও সর্বশেষ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীদের বিজয়ী করতে নিরলস ভাবে কাজ করেছি। দলের সাধারণ সম্পাদক এবং উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে বিগত ৫ বছরে এলাকায় যথেষ্ট উন্নয়নমূলক কাজ ও জনগনের পাশে থাকার চেষ্টা করেছি’। তিনি বলেন, ‘‘আমি শতভাগ আশাবাদী দল আমাকে মনোনীত করলে নৌকার বিজয় নিশ্চিত হবে’’।
আওয়ামীলীগের অপর সম্ভাব্য প্রার্থী জেলা তাতীলীগের সভাপতি মোঃ মুদ্দত আলী বলেন, ‘‘আমি দীর্ঘদিন যাবত তৃণমুল থেকে দলকে গোছানোর জন্য কাজ করে আসছি। বিগত সংসদ নির্বাচনসহ প্রতিটি নির্বাচনে নৌকাকে বিজয়ী করার জন্য এক পান্ত থেকে অপর প্রান্তে নিরলস ভাবে কাজ করেছি’’। তিনি বলেন, ‘‘হবিগঞ্জ জেলা তাঁতীলীগকে জেলায় শক্তিশালী সংগঠন হিসেবে দাঁড় করিয়েছি। আগামী উপজেলা নির্বাচনে আমি নৌকার টিকেট চাইবো। আমি আশাবাদী আমার কাজের মূল্যায়ন করে আমাকে দল নৌকার টিকেট দিবে এবং নির্বাচনে জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে এলাকার লোকজন আমাকে মূল্যায়ন করবেন’’।
সম্ভাব্য প্রার্থী উপজেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মিজানুর রহমান চৌধুরী বলেন, ‘‘দেশে গণতন্ত্র নেই, নির্বাচনের পরিবেশও নেই। তাই নির্বাচন নিয়ে আপাতত তেমন আগ্রহও নেই আমাদের। যদি পরিবেশ তৈরি হয় এবং দল সিদ্ধান্ত নেয়, সে ক্ষেত্রে আমি অবশ্যই প্রতিদ্ধন্দ্বিতা করব’’। উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ১৯ ফেব্র“য়ারী অনুষ্ঠিত হয় বাহুবল উপজেলা পরিষদের নির্বাচন।